বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এর তথ্য অনুযায়ী, দীর্ঘসময় ধরে অব্যাহত পতনের পর, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা স্থিতিশীল হওয়ার লক্ষণ দেখা গেছে,।
মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা জানুয়ারির ১১৬.০২ মিলিয়ন থেকে সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে ফেব্রুয়ারিতে ১১৬.০৩ মিলিয়নে পৌঁছেছে, তবে ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা অপরিবর্তিত থেকে ১৪.০৪ মিলিয়নেই স্থির রয়েছে।
২০২৪ সালের জুনে দেশে প্রায় ১২৯.১৭ মিলিয়ন মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল। তবে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে এই সংখ্যা কমে ১১৬.০২ মিলিয়নে নেমে আসে, যা ১৩ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারীর ক্ষতির ইঙ্গিত দেয়।
একইভাবে, মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারীদের মোট সংখ্যা ২০২৪ সালের জুনে ১৪২.১৭ মিলিয়ন থাকলেও ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে তা কমে ১৩০.০৬ মিলিয়নে নেমে আসে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, করের বোঝা এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এই পতনের প্রধান কারণ।
একজন টেলিকম বিশেষজ্ঞ বলেন, ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের কারণে নতুন সংযোগ গ্রহণে ব্যবহারকারীদের অনীহা দেখা গেছে, যা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ইন্টারনেট সংযোগ ধরে রাখা কঠিন করে তুলেছে।
এছাড়া, ব্যয় বৃদ্ধির ফলে অনেক ব্যবহারকারী বিকল্প সংযোগ বজায় রাখতে আগ্রহ হারিয়েছেন।
তবে, ফেব্রুয়ারিতে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সামান্য বৃদ্ধিকে টেলিকম খাতের জন্য আশার আলো হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে পূর্ববর্তী সময়ের পতনের কারণগুলোর প্রভাব হয়তো কিছুটা কমছে।
তবে, ব্রডব্যান্ড খাত স্থবির রয়ে গেছে, যা এই খাতের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে আরও প্রচেষ্টা প্রয়োজন বলে ইঙ্গিত দিচ্ছে।
অন্যদিকে, একই সময়ে মোবাইল সাবস্ক্রাইবারদের মোট সংখ্যা অব্যাহতভাবে হ্রাস পেয়েছে।
বিটি/ আরকে