বিদ্যমান শিল্পে অপরিবর্তিত রেখে বাড়ল নতুন শিল্পের গ্যাসের দাম। শিল্প গ্যাসের দাম ৩৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। শিল্পের বয়লারে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ঘনমিটার প্রতি ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা এবং ক্যাপটিভে ৩১.৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪২ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
নতুন শিল্পের পাশাপাশি এখন যারা অনুমোদিত লোডের বেশি গ্যাস ব্যবহার করছেন- সেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানকেও ৩০ টাকার পরিবর্তে ৪০ টাকা দরে বিল দিতে হবে। নতুন দর চলতি এপ্রিল মাসের বিল থেকেই কার্যকর হবে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন দর ঘোষণা করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য মিজানুর রহমান, সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া, আব্দুর রাজ্জাক ও শাহীদ সারোয়ার।
ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্টে গ্যাসের নতুন হার
বিইআরসি জানায়, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ শ্রেণির ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম একই হারে বাড়ানো হয়েছে। ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের প্রতি ঘনমিটারে ৪২ টাকা দিতে হবে, যা পূর্বে ছিল ৩১ টাকা।
ক্যাপটিভ শ্রেণির গ্রাহক বলতে গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বোঝায়।
এছাড়া বর্তমান গ্রাহকরা যদি তাদের অনুমোদিত লোডের ৫০ শতাংশের বেশি ব্যবহার করেন, তবে তাদেরও প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের জন্য দিতে হবে ৪২ টাকা। অন্যদিকে, ৫০ শতাংশের কম ব্যবহার করলে গ্যাসের মূল্য হবে প্রতি ঘনমিটার ৩১.৫০ টাকা।
শিল্প খাতে গ্যাসের নতুন হার:
শিল্প খাতের নতুন ভোক্তাদের জন্য গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটার ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগে ছিল ৩০ টাকা।
যেসব পুরাতন শিল্প গ্রাহকরা তাদের পূর্বের অনুমোদিত লোডের চেয়ে ৫০ শতাংশের বেশি ব্যবহার করবেন, তাদের ক্ষেত্রেও গ্যাসের দাম হবে প্রতি ঘনমিটার ৪০ টাকা। তবে যারা ৫০ শতাংশের কম ব্যবহার করবেন, তাদের জন্য গ্যাসের দাম পূর্বের মতোই ৩০ টাকা থাকবে।
মাঝারি শিল্পে মূল্য বৃদ্ধি:
মাঝারি শিল্প খাতে গ্যাসের দাম ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা করা হয়েছে। যদি কোনো ভোক্তা পূর্বের অনুমোদিত লোডের চেয়ে ৫০ শতাংশের বেশি ব্যবহার করেন, তবে অতিরিক্ত ১০ টাকা হারে গ্যাসের মূল্য বাড়বে।
বিটি/ আরকে